রাস্তার পাগলদের নিয়ে বিভিন্ন ধরনের উক্তি বা অভিব্যক্তি প্রচলিত আছে। কেউ তাদের দুর্দশাগ্রস্ত জীবন নিয়ে সহানুভূতি প্রকাশ করে, কেউ তাদের আচরণকে অস্বাভাবিক বা হাস্যকর হিসেবে দেখে, আবার কেউ তাদের সমাজের প্রতিচ্ছবি হিসেবে দেখে।আমরা কখনোই ভেবে দেখিনি পাগলের কষ্টগুলো। আমরা মনে করিনি পাগল ও ভালো মানুষ ছিল এবং আজকে তিনি একজন পাগল। এই পাগল হওয়ার পিছনে কারণ কি এসব ভেবে দেখিনি শুধু আমরা পাগলকে পাগল হিসেবে দেখি। প্রকৃতপক্ষে তারাও মানুষ তাদেরও বেঁচে থাকার অধিকার আছে। তাই ভবঘুরে একটি অনবদ্য প্লাটফর্ম যেটি তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে কাজ করে যাচ্ছে।
তাদের প্রতি সহানুভূতি দেখান এবং তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে সহায়তা করুন।”
“তাদের প্রতি সম্মান দেখান এবং তাদের সাথে মানবিক আচরণ করুন।”
“যদি সম্ভব হয়, তাদের জন্য আশ্রয়, খাদ্য এবং পোশাকের ব্যবস্থা করুন।”
“তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগ দিন এবং প্রয়োজনে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন।”
“তাদের সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন।”
“তাদের প্রতি ঘৃণা বা অবজ্ঞা প্রদর্শন না করে, তাদের সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসুন।”
“তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হোন এবং তাদের কষ্ট লাঘব করার চেষ্টা করুন।”
“তাদের প্রতি সামান্য মানবিকতা দেখালে, হয়তো তাদের জীবন কিছুটা হলেও সহজ হতে পারে।”
“মনে রাখবেন, তারাও মানুষ এবং তাদেরও বাঁচার অধিকার আছে।”
“আপনার সামান্য সাহায্য হয়তো তাদের জীবনে অনেক বড় পরিবর্তন আনতে পারে।”
আপনার প্রসারিত সাহায্যের হাত হতে পারে এ অসহায় শিশু ও বৃদ্ধ ভবঘুরে পাগলদের দু-মুটো ডালভাত।
আমরা আমাদের সামর্থ অনুযায়ী প্রতি সপ্তাহে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন স্থানে মানবেতর জীবন যাপনকারী ভবঘুরে পাগল মানুষ গুলোর জন্য স্বাস্থ্য সম্মত খাবার তৈরি করে বিতরণ করি।
হতদরিদ্র, ভবঘুরে, এতিম অসহায় শিশুদের নিরাপদ জীবন এবং তাদের শিক্ষা, চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ একটি চেরিটি প্রকল্প চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
প্রতি বৃহস্পতি ও শুক্রবার নির্দীষ্ট লোকেশনে অবস্থানরত কিছু বয়স্ক ভবঘুরে পাগলদের বিশষে ভাবে যত্ন নেওয়া হয়।
অসুস্থ পাগলদের প্রতি মাসে একবার করে স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া ও প্রয়োজনীয় ঔষুধপত্র বিতরণ করা হয়।